ঈদুল আজহার প্রেক্ষাপটে: শান্তি, সহিষ্ণুতা ও কল্যাণের পথে আমাদের অঙ্গীকার

পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের দ্বারপ্রান্তে। মুসলিম উম্মাহর জন্য এটি ত্যাগ, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নিকট সমর্পণের এক মহান বার্তা বহন করে আনে। এই সময় শুধু পশু কোরবানির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং আত্মত্যাগ, ধৈর্য এবং সহমর্মিতার এক জাগ্রত আহ্বান। বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান এই দিনটিকে উপলক্ষ করে এক নতুন প্রত্যয়ের আলোয় উদ্ভাসিত হন।


এই পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমাদের উচিত দেশের সার্বিক কল্যাণ ও জনগণের স্বস্তির দিকটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেওয়া। সরকারের দায়িত্বশীল আচরণ যেমন প্রয়োজন, তেমনি রাজনৈতিক দলসমূহ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনসমূহ, এমনকি সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের দায়িত্ব একত্রে শান্তি ও সংহতির পরিবেশ বজায় রাখা।


আজকের বাস্তবতায়, যখন আমরা সামাজিক-রাজনৈতিক নানা বিভাজনের সম্মুখীন, তখন ঈদুল আজহার মূল বার্তা আমাদের নতুন করে ভাবায়—আমরা কি পারি না কিছুদিনের জন্য নয়, সর্বদা নিজেদের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের মানুষের শান্তি ও অগ্রগতির কথা ভাবতে?


এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, সামাজিক সংগঠন এবং ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানাই—
চলুন আমরা ধৈর্য, সহিষ্ণুতা, দেশপ্রেম ও দায়িত্বশীলতায় একত্রিত হই। জনগণের জন্য যা কল্যাণকর, তাই হোক আমাদের অগ্রাধিকার।


ঈদের এই আনন্দঘন সময়ে, আমরা যেন কেবল ভোগ নয়—বরং বিলানো, সহযোগিতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দিকে মনোনিবেশ করি।


আসুন, আমরা সবাই প্রার্থনা করি—
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন তাঁর অশেষ রহমত ও সাহায্যে আমাদের পথ সুগম করেন। তিনি যেন আমাদের তাওফিক দেন, দেশের মানুষের ন্যায্য প্রত্যাশা পূরণে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার।


আমিন।


ঈদ মোবারক।
Previous Post Next Post
Love Poems
Health Tips
Food & Recipes
Read Books
Job Circulars
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...