(একটি বাস্তবতার ছায়া মিশ্রিত কল্পগল্প)
এই গল্প কেবল একটি শহরের নয়—এটি এক অসুস্থ সময়ের প্রতিচ্ছবি। নিউমার্কেটের উত্তপ্ত রাতে রিকশাচালক সামাদ যখন রক্তমাখা ছাত্রদের মারামারি দেখে থেমে যায়, তখন সে উপলব্ধি করে—এই লড়াই শুধুমাত্র ডিপার্টমেন্টের নয়, এটি মানবিকতার পতনের যুদ্ধ। এরই মাঝে অন্যদিকে ঘটে যায় নারায়ণগঞ্জে করিম সাহেবের নির্মম হত্যাকাণ্ড, আর শিউলি বারবার ফোন করেও বাবার উত্তর পায় না।
এই সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে, কারণ সমাজ এখন বিভ্রান্তির চক্রে বন্দি। ফেসবুকে ভাইয়ের মৃত্যুর পর নোয়াখালীর রাহেলের আর্তনাদ—“বিচার চাই না, শুধু একটু মানুষ চাই”—এটাই আমাদের ব্যর্থতা। একদিকে যেখানে সীমান্তে কৃষকের বীরত্ব হয় শিরোনাম, অন্যদিকে শহরের ভিতরে ঘৃণা ছড়ায় পড়ালেখার নামে।
এ গল্প শুধু ঘটনার নয়—এটি এক আত্মোপলব্ধির ডাক। সামাদ তার ছেলেকে শেখায়, "পড়াশোনা উন্নতির জন্য, ঘৃণার জন্য নয়।" শিউলি বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদে—এই শহর আর শান্তি দিতে জানে না।
এই গল্প পড়লে আপনি ভাববেন—আমরা কেমন সমাজ গড়ছি?
📢 এটি শুধু পড়ার নয়, ছড়িয়ে দেওয়ার মতো গল্প।
নিউমার্কেটের পাঁজর ভাঙা রাতে রিকশাচালক সামাদ হঠাৎ থেমে যায়। সেদিন তার চোখের সামনে ঘটেছিল এক অদ্ভুত দৃশ্য—জ্যামের ভিড়ে দুই তরুণ একে অপরকে পেটাচ্ছে, পেছনে পুলিশ, ক্যামেরা, সাংবাদিক… কিন্তু কেউ শান্ত করছে না। সামাদের ভেতরে একটা কাঁপুনি ধরে।
"আব্বা, কী হইতেছে?" পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটি জিজ্ঞেস করে।
"পড়ালেখার নামে যুদ্ধ। জীবনের চেয়ে বড় নাকি ডিপার্টমেন্ট?" সামাদ ধীরে ধীরে বলে।
তারা সেখান থেকে চলে আসে। কিন্তু নিউমার্কেটের উত্তেজনা তখন ঢেউ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। কেউ স্ট্যাটাস দিচ্ছে, কেউ লাইভ করছে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জে বৃদ্ধ করিম সাহেব গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মেয়ে শিউলি বারবার ফোন করেও কোনো উত্তর পাচ্ছিল না।
এই দুই ঘটনা এক সুতোয় বাঁধা—কারণ সমাজের এই নৃশংসতা আজ আর শুধু জায়গার বিষয় নয়, এটা সময়ের ব্যাধি।
নোয়াখালীর রাহেল, যার ভাই গতরাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেল, সে ফেসবুকে লিখে—
_"ভাইয়ের লাশটা কোলে নিতে পারলাম না, বিচার চাই না—শুধু একটু মানুষ চাই…"
এদিকে সীমান্তে বীরোচিত আচরণ—বাংলাদেশি কৃষকরা বাঁশ হাতে ধাওয়া করে বিএসএফকে। শিরোনাম হয়: “চোরের দশ দিন, গেরস্তের এক দিন।”
এই রাত, এই শহর, এই গ্রামের মানুষগুলো—সবাই এক অদৃশ্য ব্যথায় জর্জরিত। কেউ লাশ নিয়ে ফিরছে, কেউ প্রতিবাদে রাস্তায়, কেউ মোবাইলে ট্রেন্ড খুঁজছে।
সবশেষে সামাদ তার ছেলেকে বলে,
_"দ্যাখ, মানুষ পড়ালেখা করে উন্নতির জন্য, কিন্তু যখন পড়াশোনা হাতিয়ার হয় ঘৃণার, তখন তা বই নয়, হয়ে ওঠে বোমা।"_
আর শিউলি?
সে বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছে—
_"আব্বা, আপনি শান্তিতে থাকেন। এই শহর আর কারও শান্তি দিতে পারে না!"
**📢 যদি গল্পটা মনে ছুঁয়ে যায়—একটা শেয়ার করে দিও।
❓তোমার চারপাশেও কি এমন ঘটনা ঘটেছে? লিখে জানাও।**
#রাতেরশহর #বাংলাদেশ২০২৫ #সত্য_ও_গল্প #প্রতিবাদ_আর_প্রেম #ভাইরালগল্প
এই গল্প কেবল একটি শহরের নয়—এটি এক অসুস্থ সময়ের প্রতিচ্ছবি। নিউমার্কেটের উত্তপ্ত রাতে রিকশাচালক সামাদ যখন রক্তমাখা ছাত্রদের মারামারি দেখে থেমে যায়, তখন সে উপলব্ধি করে—এই লড়াই শুধুমাত্র ডিপার্টমেন্টের নয়, এটি মানবিকতার পতনের যুদ্ধ। এরই মাঝে অন্যদিকে ঘটে যায় নারায়ণগঞ্জে করিম সাহেবের নির্মম হত্যাকাণ্ড, আর শিউলি বারবার ফোন করেও বাবার উত্তর পায় না।
এই সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা একে অন্যের সঙ্গে জড়িয়ে, কারণ সমাজ এখন বিভ্রান্তির চক্রে বন্দি। ফেসবুকে ভাইয়ের মৃত্যুর পর নোয়াখালীর রাহেলের আর্তনাদ—“বিচার চাই না, শুধু একটু মানুষ চাই”—এটাই আমাদের ব্যর্থতা। একদিকে যেখানে সীমান্তে কৃষকের বীরত্ব হয় শিরোনাম, অন্যদিকে শহরের ভিতরে ঘৃণা ছড়ায় পড়ালেখার নামে।
এ গল্প শুধু ঘটনার নয়—এটি এক আত্মোপলব্ধির ডাক। সামাদ তার ছেলেকে শেখায়, "পড়াশোনা উন্নতির জন্য, ঘৃণার জন্য নয়।" শিউলি বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদে—এই শহর আর শান্তি দিতে জানে না।
এই গল্প পড়লে আপনি ভাববেন—আমরা কেমন সমাজ গড়ছি?
📢 এটি শুধু পড়ার নয়, ছড়িয়ে দেওয়ার মতো গল্প।
নিউমার্কেটের পাঁজর ভাঙা রাতে রিকশাচালক সামাদ হঠাৎ থেমে যায়। সেদিন তার চোখের সামনে ঘটেছিল এক অদ্ভুত দৃশ্য—জ্যামের ভিড়ে দুই তরুণ একে অপরকে পেটাচ্ছে, পেছনে পুলিশ, ক্যামেরা, সাংবাদিক… কিন্তু কেউ শান্ত করছে না। সামাদের ভেতরে একটা কাঁপুনি ধরে।
"আব্বা, কী হইতেছে?" পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটি জিজ্ঞেস করে।
"পড়ালেখার নামে যুদ্ধ। জীবনের চেয়ে বড় নাকি ডিপার্টমেন্ট?" সামাদ ধীরে ধীরে বলে।
তারা সেখান থেকে চলে আসে। কিন্তু নিউমার্কেটের উত্তেজনা তখন ঢেউ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। কেউ স্ট্যাটাস দিচ্ছে, কেউ লাইভ করছে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জে বৃদ্ধ করিম সাহেব গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। তার মেয়ে শিউলি বারবার ফোন করেও কোনো উত্তর পাচ্ছিল না।
এই দুই ঘটনা এক সুতোয় বাঁধা—কারণ সমাজের এই নৃশংসতা আজ আর শুধু জায়গার বিষয় নয়, এটা সময়ের ব্যাধি।
নোয়াখালীর রাহেল, যার ভাই গতরাতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেল, সে ফেসবুকে লিখে—
_"ভাইয়ের লাশটা কোলে নিতে পারলাম না, বিচার চাই না—শুধু একটু মানুষ চাই…"
এদিকে সীমান্তে বীরোচিত আচরণ—বাংলাদেশি কৃষকরা বাঁশ হাতে ধাওয়া করে বিএসএফকে। শিরোনাম হয়: “চোরের দশ দিন, গেরস্তের এক দিন।”
এই রাত, এই শহর, এই গ্রামের মানুষগুলো—সবাই এক অদৃশ্য ব্যথায় জর্জরিত। কেউ লাশ নিয়ে ফিরছে, কেউ প্রতিবাদে রাস্তায়, কেউ মোবাইলে ট্রেন্ড খুঁজছে।
সবশেষে সামাদ তার ছেলেকে বলে,
_"দ্যাখ, মানুষ পড়ালেখা করে উন্নতির জন্য, কিন্তু যখন পড়াশোনা হাতিয়ার হয় ঘৃণার, তখন তা বই নয়, হয়ে ওঠে বোমা।"_
আর শিউলি?
সে বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছে—
_"আব্বা, আপনি শান্তিতে থাকেন। এই শহর আর কারও শান্তি দিতে পারে না!"
**📢 যদি গল্পটা মনে ছুঁয়ে যায়—একটা শেয়ার করে দিও।
❓তোমার চারপাশেও কি এমন ঘটনা ঘটেছে? লিখে জানাও।**
#রাতেরশহর #বাংলাদেশ২০২৫ #সত্য_ও_গল্প #প্রতিবাদ_আর_প্রেম #ভাইরালগল্প