"ফারিয়ার অপেক্ষা" একটি হৃদয়স্পর্শী বাংলা অতিপ্রাকৃত প্রেম কাহিনী, যা চট্টগ্রামের পাহাড়তলির এক পুরনো বাড়িকে কেন্দ্র করে আবর্তিত।
গল্পের নায়ক অপ্রত্যাশিতভাবে সেই পুরনো বাড়িতে আসে এবং ধীরে ধীরে আবিষ্কার করে এক নারীর আত্মা, যার নাম ফারিয়া। মুক্তিযুদ্ধে নিখোঁজ হওয়া প্রেমিক নাজিমকে নিয়ে তার চিরন্তন অপেক্ষা আজও ঘুরে বেড়ায় সেই ঘরের দেয়ালে, জানালায়, হারমোনিয়ামের সুরে। এক ডায়রি, কিছু গান, আর ছায়াময় উপস্থিতির মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয় এক অসমাপ্ত প্রেমের পরিণতি। ফারিয়ার আত্মা কেবল ভালোবাসার স্বীকৃতি পেলেই মুক্তি পায়। গল্পে রয়েছে রহস্য, আবেগ, অতিপ্রাকৃত অনুভূতি এবং চিরন্তন প্রেমের গন্ধ।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলির কোলে একটি পুরনো, লাল ইটের দোতলা বাড়ি। চারপাশে এখন আধুনিক ভবন, দোকানপাট, ব্যস্ততা, কিন্তু এই বাড়িটা যেন সময়ের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। কাঁটার ঝোপে ঢাকা বাগান, মসৃণ রঙচটা দেয়াল, আর ছাদের ধারে জমে থাকা শ্যাওলা—সব মিলিয়ে বাড়িটি যেন এক নিঃশব্দ ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলছে।
এই বাড়িতে হঠাৎ করেই আমাকে পাঠানো হলো মামার অনুপস্থিতিতে দেখভাল করার জন্য। মামা বিদেশে থাকেন, বললেন, “তুই একটু কয়েক সপ্তাহ দেখ, ঝাড়পোঁছ করে রাখ, পরে বিক্রি করা লাগতে পারে।”
আমি ঢাকা থেকে বাসে এসে দুপুর নাগাদ পৌঁছালাম। দরজার চাবি ঘুরানোর সঙ্গে সঙ্গে এক ধরণের ঠাণ্ডা, ভেজা গন্ধ নাকে এল। ঘরে ঢুকতেই মনে হলো যেন অনেকগুলো চোখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দেয়ালে ধুলোর আস্তরণ, জানালায় লাল পর্দা—দেখতে যেন পুরনো ভূতের সিনেমার সেট।
প্রথম রাতে আমি থাকলাম দোতলার পশ্চিম ঘরে। ঘরটা পরিপাটি করেই গুছিয়ে নিয়েছিলাম, তবু একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি ছিল। ঘুমাতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শুনলাম মৃদু সুরে একটি নারীকণ্ঠে গান:
“আমি তোকে খুঁজেছি শত সন্ধ্যায়, তুই কি খুঁজিস আমায়?”
প্রথমে ভাবলাম পাশের বাড়ি থেকে আসছে, কিন্তু সকালে বের হয়ে খোঁজ নিলাম—পাশের বাড়িটা তিন বছর ধরেই ফাঁকা।
পরদিন জোহরা খালা এলেন। তিনি আশেপাশে অনেকদিন ধরে আছেন। কথায় কথায় জানালেন, “এই বাড়ির দক্ষিণ ঘরটায় আগে এক মেয়ে থাকতো, ফারিয়া। খুব শান্ত স্বভাবের ছিল, গানে গানে মেতে থাকতো। প্রেম করতো এক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে, নাম ছিল নাজিম। সে ফিরে আসেনি যুদ্ধ থেকে... আর ফারিয়া?”
তিনি চুপ করে গেলেন। আমি চেপে ধরতেই বললেন, “একদিন সে নিজেই হারিয়ে গেল। কেউ জানে না কোথায়। ঘরটা এরপর তালাবদ্ধ, কেউ আর ঢোকে না।”
আমার কৌতূহল বেড়ে গেল। বিকেলে উঠে গেলাম ছাদে ছবি তুলতে। হঠাৎ চোখে পড়ল, দক্ষিণ ঘরের জানালায় এক নারী দাঁড়িয়ে—সাদা শাড়ি, মাথায় খোঁপা, কপালে লাল টিপ। আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি ফিরেছো… অবশেষে।”
আমি নিচে দৌড়ে এসে দেখি দরজাটা হালকা খোলা। ভেতরে ঢুকে দেখি এক পুরনো কাঠের আলমারি, ধুলোমাখা চেয়ার, আর টেবিলের ওপরে পড়ে থাকা একটি ডায়রি।
প্রথম পাতায় লেখা:
“নাজিম, তুমি ফিরে এসো। আমি অপেক্ষা করবো—যদি কখনও ফিরে আসো।”
ডায়রির পাতায় পাতায় লেখা তার প্রেম, যুদ্ধের কথা, প্রতীক্ষা আর ভয়। এক জায়গায় লেখা:
“তুমি যেদিন গিয়েছিলে, বলেছিলে ফিরে আসবে। আমি বিশ্বাস করেছি। মৃত্যু এলেও অপেক্ষা করবো। কারণ ভালোবাসা কেবল শরীরের নয়—আত্মারও।”
রাত নামল। আবার সেই গান শোনা গেল। এবার দরজায় ঠক ঠক শব্দ। খুলতেই দেখা গেল, ফারিয়া দাঁড়িয়ে। আমি ভয়ে জমে গেলাম না। বরং শান্তি অনুভব করলাম। ও বললো, “তুমি বুঝেছো। আমি যেতে পারি।”
সে জানালার দিকে এগিয়ে গেল। পূর্ণিমার আলোয় ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল। জানালার ধারে পড়ে রইল একটি ছোট্ট লাল টিপ।
পরদিন সকালে ডায়রির ভাঁজে আরেকটি পুরনো কাগজ পেলাম। যেন রক্তমাখা কালিতে লেখা:
“৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১—আজ শেষবারের মতো ওর মুখ দেখেছি স্টেশনে। আমি কাঁদছিলাম, সে হাসছিল। বলেছিল, আমি ফিরে আসব, তুই জানালায় থাকিস।”
আমি অবাক হলাম—এত কষ্টের মধ্যে কেউ এত ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করতে পারে? আমি জোহরা খালাকে ডেকে আনলাম। তাঁকে ডায়রির কিছু অংশ পড়ে শোনালাম। তাঁর চোখে জল চলে এলো। বললেন, “তুমি হয়তো জানো না, তুমি ওই নাজিমের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তোমার চোখে ওর চোখের ছায়া।”
আমি হতবাক হলাম। কেমন যেন সব মিলিয়ে যাচ্ছে। রাত বাড়লো। আমি আবার সেই ঘরে গেলাম। এবার ঘরের বাতি নিজে থেকেই জ্বলে উঠল। হারমোনিয়ামের ওপর রাখা ছিল একটি নতুন পৃষ্ঠা:
“তুমি বুঝেছো, তাই আমি মুক্ত। আমি আজ যেতে পারি।”
আলো নিভে গেল। দরজার ফাঁকে আবার দেখা গেল সেই ছায়া—সাদা শাড়ি, শান্ত মুখ, চোখে তৃপ্তি। সে জানালার দিকে হেঁটে গেল, বাতাসে মিলিয়ে গেল একধরণের সুর নিয়ে।
আমি জানি, ফারিয়ার আত্মা মুক্ত হয়েছে। তার অপেক্ষার পরিণতি হয়েছে। আর আমি, আমি এই গল্পের সাক্ষী হয়ে রইলাম—ভালোবাসা, প্রতীক্ষা আর আত্মার এক গভীর বন্ধনের।
বাড়িটি আজও আছে পাহাড়তলির কোলে। মাঝে মাঝে রাতে হারমোনিয়ামের সুর ভেসে আসে বাতাসে, যেন ভালোবাসা আজও বেঁচে আছে এই পৃথিবীর ওপারে।
প্রিয় পাঠক,
এই গল্পটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি গল্পের প্রতিটি মুহূর্ত আপনাকে নতুন ভাবনার জগতে নিয়ে গেছে, এবং অদৃশ্য দরজা ও ফারিয়ার অপেক্ষার মধ্য দিয়ে কিছু অনুভূতি হৃদয়ে জাগ্রত হয়েছে।
আমাদের কল্পকথা ৩৬০-এ আরও অনেক রকমের গল্প, চিন্তা এবং কল্পনার ভান্ডার রয়েছে, যেখানে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন নতুন নতুন জগতের মধ্যে। আপনার মতামত ও মন্তব্য আমাদের জন্য অমূল্য, তাই দয়া করে আপনার অনুভূতি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অপেক্ষায় থাকুন আরও রোমাঞ্চকর গল্পের জন্য — আমরা আবার দেখা করব কল্পকথার পরবর্তী যাত্রায়।
আপনার পথচলা হোক রঙিন, কল্পনার ভুবনে অনন্ত।
শুভকামনায়,
কল্পকথা ৩৬০ টিম
গল্পের নায়ক অপ্রত্যাশিতভাবে সেই পুরনো বাড়িতে আসে এবং ধীরে ধীরে আবিষ্কার করে এক নারীর আত্মা, যার নাম ফারিয়া। মুক্তিযুদ্ধে নিখোঁজ হওয়া প্রেমিক নাজিমকে নিয়ে তার চিরন্তন অপেক্ষা আজও ঘুরে বেড়ায় সেই ঘরের দেয়ালে, জানালায়, হারমোনিয়ামের সুরে। এক ডায়রি, কিছু গান, আর ছায়াময় উপস্থিতির মধ্য দিয়ে উন্মোচিত হয় এক অসমাপ্ত প্রেমের পরিণতি। ফারিয়ার আত্মা কেবল ভালোবাসার স্বীকৃতি পেলেই মুক্তি পায়। গল্পে রয়েছে রহস্য, আবেগ, অতিপ্রাকৃত অনুভূতি এবং চিরন্তন প্রেমের গন্ধ।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলির কোলে একটি পুরনো, লাল ইটের দোতলা বাড়ি। চারপাশে এখন আধুনিক ভবন, দোকানপাট, ব্যস্ততা, কিন্তু এই বাড়িটা যেন সময়ের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। কাঁটার ঝোপে ঢাকা বাগান, মসৃণ রঙচটা দেয়াল, আর ছাদের ধারে জমে থাকা শ্যাওলা—সব মিলিয়ে বাড়িটি যেন এক নিঃশব্দ ইতিহাস বয়ে নিয়ে চলছে।
এই বাড়িতে হঠাৎ করেই আমাকে পাঠানো হলো মামার অনুপস্থিতিতে দেখভাল করার জন্য। মামা বিদেশে থাকেন, বললেন, “তুই একটু কয়েক সপ্তাহ দেখ, ঝাড়পোঁছ করে রাখ, পরে বিক্রি করা লাগতে পারে।”
আমি ঢাকা থেকে বাসে এসে দুপুর নাগাদ পৌঁছালাম। দরজার চাবি ঘুরানোর সঙ্গে সঙ্গে এক ধরণের ঠাণ্ডা, ভেজা গন্ধ নাকে এল। ঘরে ঢুকতেই মনে হলো যেন অনেকগুলো চোখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দেয়ালে ধুলোর আস্তরণ, জানালায় লাল পর্দা—দেখতে যেন পুরনো ভূতের সিনেমার সেট।
প্রথম রাতে আমি থাকলাম দোতলার পশ্চিম ঘরে। ঘরটা পরিপাটি করেই গুছিয়ে নিয়েছিলাম, তবু একটা অস্বস্তিকর অনুভূতি ছিল। ঘুমাতে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই শুনলাম মৃদু সুরে একটি নারীকণ্ঠে গান:
“আমি তোকে খুঁজেছি শত সন্ধ্যায়, তুই কি খুঁজিস আমায়?”
প্রথমে ভাবলাম পাশের বাড়ি থেকে আসছে, কিন্তু সকালে বের হয়ে খোঁজ নিলাম—পাশের বাড়িটা তিন বছর ধরেই ফাঁকা।
পরদিন জোহরা খালা এলেন। তিনি আশেপাশে অনেকদিন ধরে আছেন। কথায় কথায় জানালেন, “এই বাড়ির দক্ষিণ ঘরটায় আগে এক মেয়ে থাকতো, ফারিয়া। খুব শান্ত স্বভাবের ছিল, গানে গানে মেতে থাকতো। প্রেম করতো এক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে, নাম ছিল নাজিম। সে ফিরে আসেনি যুদ্ধ থেকে... আর ফারিয়া?”
তিনি চুপ করে গেলেন। আমি চেপে ধরতেই বললেন, “একদিন সে নিজেই হারিয়ে গেল। কেউ জানে না কোথায়। ঘরটা এরপর তালাবদ্ধ, কেউ আর ঢোকে না।”
আমার কৌতূহল বেড়ে গেল। বিকেলে উঠে গেলাম ছাদে ছবি তুলতে। হঠাৎ চোখে পড়ল, দক্ষিণ ঘরের জানালায় এক নারী দাঁড়িয়ে—সাদা শাড়ি, মাথায় খোঁপা, কপালে লাল টিপ। আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি ফিরেছো… অবশেষে।”
আমি নিচে দৌড়ে এসে দেখি দরজাটা হালকা খোলা। ভেতরে ঢুকে দেখি এক পুরনো কাঠের আলমারি, ধুলোমাখা চেয়ার, আর টেবিলের ওপরে পড়ে থাকা একটি ডায়রি।
প্রথম পাতায় লেখা:
“নাজিম, তুমি ফিরে এসো। আমি অপেক্ষা করবো—যদি কখনও ফিরে আসো।”
ডায়রির পাতায় পাতায় লেখা তার প্রেম, যুদ্ধের কথা, প্রতীক্ষা আর ভয়। এক জায়গায় লেখা:
“তুমি যেদিন গিয়েছিলে, বলেছিলে ফিরে আসবে। আমি বিশ্বাস করেছি। মৃত্যু এলেও অপেক্ষা করবো। কারণ ভালোবাসা কেবল শরীরের নয়—আত্মারও।”
রাত নামল। আবার সেই গান শোনা গেল। এবার দরজায় ঠক ঠক শব্দ। খুলতেই দেখা গেল, ফারিয়া দাঁড়িয়ে। আমি ভয়ে জমে গেলাম না। বরং শান্তি অনুভব করলাম। ও বললো, “তুমি বুঝেছো। আমি যেতে পারি।”
সে জানালার দিকে এগিয়ে গেল। পূর্ণিমার আলোয় ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল। জানালার ধারে পড়ে রইল একটি ছোট্ট লাল টিপ।
পরদিন সকালে ডায়রির ভাঁজে আরেকটি পুরনো কাগজ পেলাম। যেন রক্তমাখা কালিতে লেখা:
“৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১—আজ শেষবারের মতো ওর মুখ দেখেছি স্টেশনে। আমি কাঁদছিলাম, সে হাসছিল। বলেছিল, আমি ফিরে আসব, তুই জানালায় থাকিস।”
আমি অবাক হলাম—এত কষ্টের মধ্যে কেউ এত ভালোবাসা নিয়ে অপেক্ষা করতে পারে? আমি জোহরা খালাকে ডেকে আনলাম। তাঁকে ডায়রির কিছু অংশ পড়ে শোনালাম। তাঁর চোখে জল চলে এলো। বললেন, “তুমি হয়তো জানো না, তুমি ওই নাজিমের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তোমার চোখে ওর চোখের ছায়া।”
আমি হতবাক হলাম। কেমন যেন সব মিলিয়ে যাচ্ছে। রাত বাড়লো। আমি আবার সেই ঘরে গেলাম। এবার ঘরের বাতি নিজে থেকেই জ্বলে উঠল। হারমোনিয়ামের ওপর রাখা ছিল একটি নতুন পৃষ্ঠা:
“তুমি বুঝেছো, তাই আমি মুক্ত। আমি আজ যেতে পারি।”
আলো নিভে গেল। দরজার ফাঁকে আবার দেখা গেল সেই ছায়া—সাদা শাড়ি, শান্ত মুখ, চোখে তৃপ্তি। সে জানালার দিকে হেঁটে গেল, বাতাসে মিলিয়ে গেল একধরণের সুর নিয়ে।
আমি জানি, ফারিয়ার আত্মা মুক্ত হয়েছে। তার অপেক্ষার পরিণতি হয়েছে। আর আমি, আমি এই গল্পের সাক্ষী হয়ে রইলাম—ভালোবাসা, প্রতীক্ষা আর আত্মার এক গভীর বন্ধনের।
বাড়িটি আজও আছে পাহাড়তলির কোলে। মাঝে মাঝে রাতে হারমোনিয়ামের সুর ভেসে আসে বাতাসে, যেন ভালোবাসা আজও বেঁচে আছে এই পৃথিবীর ওপারে।
প্রিয় পাঠক,
এই গল্পটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি গল্পের প্রতিটি মুহূর্ত আপনাকে নতুন ভাবনার জগতে নিয়ে গেছে, এবং অদৃশ্য দরজা ও ফারিয়ার অপেক্ষার মধ্য দিয়ে কিছু অনুভূতি হৃদয়ে জাগ্রত হয়েছে।
আমাদের কল্পকথা ৩৬০-এ আরও অনেক রকমের গল্প, চিন্তা এবং কল্পনার ভান্ডার রয়েছে, যেখানে আপনি হারিয়ে যেতে পারেন নতুন নতুন জগতের মধ্যে। আপনার মতামত ও মন্তব্য আমাদের জন্য অমূল্য, তাই দয়া করে আপনার অনুভূতি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অপেক্ষায় থাকুন আরও রোমাঞ্চকর গল্পের জন্য — আমরা আবার দেখা করব কল্পকথার পরবর্তী যাত্রায়।
আপনার পথচলা হোক রঙিন, কল্পনার ভুবনে অনন্ত।
শুভকামনায়,
কল্পকথা ৩৬০ টিম
Tags:
Love Stories