চাঁদ উঠেছে! কুরবানির ঈদ দরজায় — প্রস্তুতি নিচ্ছেন তো?

“ঈদের দিনে ভোরবেলা, শুনি খুশির ডাক,
পাখিরাও আজ গেয়ে ওঠে, ঈদ এলো দারুণ মজাক!
গরু-ছাগল মাঠে আসে, কোরবানি যে হবে,
টুপি পরে হাসছে সবাই, মুখে ঈদের কলরবে!

নানা রঙের পশুগুলো সব যেনো বন্ধু ভাই,
তাদের সাথে খেলতে গিয়ে কেটে যায় গো দিনটাই!
আম্মু বলেন, “ত্যাগই ঈদ, ভালোবাসা দান,”
আব্বু বলেন, “আল্লাহর পথেই থাক সবার প্রাণ।”

মাংস ভাগ করে গরিবদেরে দিই যে খুশি মুখ,
এই তো শেখায় কুরবানির ঈদ—ভালোবাসার সুখ।
তুমি আমি সবাই মিলে ঈদের গান গাই,
সবার মাঝে ভাগাভাগি, খুশি রইলো ভাই!”

আলহামদুলিল্লাহ! সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ২০২৫ সালের ঈদুল আযহা সৌদিতে উদযাপিত হবে ৬ জুন এবং বাংলাদেশে ঈদ হবে ৭ জুন। জিলহজের প্রথম দশদিন ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৯ জিলহজ আরাফাহর দিন রোজা রাখা সুন্নত ও ফজিলতপূর্ণ।

ঈদুল আযহা মুসলমানদের কুরবানি ও তাকওয়ার উৎসব। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর ত্যাগ ও আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে পশু কুরবানি করা হয়। কুরবানির মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি ও গরিবদের মাঝে সহানুভূতির চর্চা হয়।

এই ঈদে কুরবানির গোশত তিন ভাগ করে আত্মীয়, প্রতিবেশী ও গরিবদের মাঝে বিতরণ করার নির্দেশ রয়েছে।

আলহামদুলিল্লাহ! সৌদি আরবে দেখা গেছে পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ। এর ফলে সৌদি আরবে ৬ জুন ২০২৫ তারিখে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা, আর বাংলাদেশে ঈদুল আযহার দিন নির্ধারিত হয়েছে ৭ জুন ২০২৫।

চাঁদ দেখার এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মুসলিম বিশ্বের জন্য সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দশ রাত—জিলহজ মাসের প্রথম দশক। এই সময়টিই হলো আত্মশুদ্ধি, তাকওয়া অর্জন এবং কুরবানির প্রস্তুতির গুরুত্বপূর্ণ সময়।

ঈদুল আযহার তাৎপর্য ও শিক্ষা

ঈদুল আযহা শুধু একটি উৎসব নয়—এটি একটি আত্মত্যাগ, আল্লাহর নির্দেশ পালনের প্রতীক। হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.) এর কুরবানির ঘটনাই এই ঈদের মূল ভিত্তি। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মুসলমান কুরবানি করে সেই আত্মত্যাগের মহিমা স্মরণ করে।

সৌদি আরব ও বাংলাদেশের তারিখ পার্থক্যের কারণ

হিজরি মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হওয়ায় ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে একেক দেশে একদিন আগে বা পরে ঈদ উদযাপিত হয়। সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় তারা একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করবে, অর্থাৎ ৬ জুন। আর বাংলাদেশে চাঁদ দেখা অনুযায়ী ঈদ হবে ৭ জুন।

এই ঈদে করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল

৯ জিলহজ (আরাফার দিন) রোজা রাখা মুস্তাহাব, যার সওয়াব অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ

ঈদের নামাজের আগে বেশি বেশি তাকবির বলা

কুরবানির পশুকে আদর-যত্ন করা ও নির্ধারিত নিয়মে কুরবানি প্রদান

আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও গরিবদের মাঝে কুরবানির গোশত বণ্টন করা

কৃতজ্ঞতা, দানশীলতা ও সহানুভূতির চর্চা করা

ঈদুল আযহা আমাদের শিক্ষা দেয় আত্মত্যাগের, একতা ও মানবতার। আসুন, আমরা সবাই ঈদের এই বার্তাকে অন্তরে ধারণ করে সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা করি।

ঈদ মোবারক! আল্লাহ আমাদের কুরবানি ও ইবাদত কবুল করুন। আমিন।

আপনি কি এই ঈদে কুরবানি দিচ্ছেন? আপনার প্রস্তুতির গল্প বা পরিকল্পনা আমাদের সাথে কমেন্টে শেয়ার করুন!
Previous Post Next Post
Love Poems
Health Tips
Food & Recipes
Read Books
Job Circulars
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...