বাংলাদেশের বৃষ্টিতে 'তলাবিদ্ধ' নগর: ঢাকার জলাবদ্ধতায় হাঁটু ডুবে অফিস, কৃষকের মাঠে বৃষ্টি-পানির নাটক!

বাংলাদেশের বৃষ্টি এলো, আর আমরা সবাই বললাম, “আরে, আবার কি হবে?” ঢাকার রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে যাওয়ায় অফিস যাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ল — আর অফিসগামী জনতা বলতে লাগল, “৩০ মিনিটে অফিস? না না, আজ লেগেছে ৩ ঘণ্টা!”

রাস্তা যেন হাঁস-মুরগির পুকুর, বাসগুলো দাঁড়িয়ে থাকে যেন পার্কিং লট। মশার বংশ বৃদ্ধি দেখে ডেঙ্গুও হয়তো বলছে, “আমার ড্রিম হোলিডে তো এবার জলমগ্ন শহরে!”
কৃষক ভাইয়েরা মাঠে বৃষ্টির জলে ভেসে যাচ্ছে ধান, আর তাঁরা বলছেন, “এবার তো বৃষ্টি আর আমার মনের অবস্থা দুটোই ভারি।”
আসলে, আমাদের শহর আর গ্রাম যেন একদম “ওয়াটার থিম পার্ক,” কিন্তু এটার রাইডসটা মোটেই মজার না।
তাই বলি, চলুন পানি নিষ্কাশন আর পরিকল্পনায় একটু বুদ্ধি ঝরাই, নাহলে এই “বৃষ্টি নাটক” বারবার হয়ে যাবে!

বাংলাদেশে বৃষ্টি এলো, অফিস গেলো গোছা-গোছা, ঝড়-ঝাপটা না করে কি চলে!

ঢাকা শহর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে; রাস্তা এখন হাঁস-মুরগির পুকুরের মত, যেখানে অফিসগামী মানুষের হাঁটু ডুবেছে!
“৩০ মিনিটের অফিস যাত্রা ৩ ঘণ্টায় শেষ!”— এই কথা এখন ‘ঢাকার জলাবদ্ধতা’ নামে এক নতুন মজার গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজট যেন একটি ‘লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম’, যেখানে বাসগুলো থেমে থাকে পার্কিং গ্যারেজের মতো। কেউ কেউ মনে করেন, বাস মালিকরা আসলে ‘পার্কিং মাস্টার’!
আর মশারা? এদের তো বৃষ্টি আর জল জমা মানেই মশার ফ্যাশন শো! ডেঙ্গু ও টাইফয়েড রোগ যেন বিনোদনের নতুন ‘সিরিয়াল’ শুরু করেছে।
গ্রামের কৃষক ভাইয়েরাও যেন বৃষ্টির ‘অপেরা’ দেখছেন, ধান তলিয়ে যায়, বীজতলা ডুবে যায়, আর ভেবেই আর মাঠে নামতে পারছেন না।
সব মিলিয়ে, আমাদের দেশ এখন “ওয়াটার থিম পার্ক” হয়ে গেছে, কিন্তু রাইডগুলো একদম বোরিং আর বিপজ্জনক!
আসুন, একটু বুদ্ধি খাটাই, জলাবদ্ধতা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় — না হলে প্রতিবছর বৃষ্টির সময় “অফিস যাওয়ার সময় বাড়িয়ে দিন” ডিমাণ্ড করে বসবে!

বৃষ্টির জলেই ভাসছে বাংলাদেশ, কিন্তু ভাসছে কেন শুধু নগর আর কৃষকের স্বপ্ন?

বাংলাদেশের বৃষ্টি শুধু পানি নয়, তা যেন সমাজের দুর্বলতার এক ভয়ানক প্রতিবিম্ব। ঢাকার রাস্তায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমে, অফিসে যাওয়া মানেই এক ধরনের যন্ত্রণার নাম।
একদিকে প্রশাসনের অক্ষমতা, অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট নগরপরিকল্পনা; এসব মিশে গড়ে তুলেছে এমন এক বাস্তবতা যেখানে নাগরিকেরা প্রতিনিয়ত ভোগেন বৃষ্টির ভয়াবহতা।
কৃষকের জন্য তো কথাই নেই—তারা হারাচ্ছেন পাকা ফসলের স্বপ্ন, আর বৃষ্টির জলে ভেসে যাচ্ছে তাদের জীবনসঙ্গী মাঠ। স্রোত হয়ে ভেসে যাচ্ছে না শুধু ধান, ভেসে যাচ্ছে সেই অগণিত মানুষদের আশা আর ভবিষ্যত।
স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, রোগ-জীবাণুর উৎস হয়ে উঠছে জলাবদ্ধতা। অথচ প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা এখনও ‘দেখে দেখে’ আর ‘অপেক্ষা কর’ তৎপরতায় ডুবে আছেন।
আমাদের আজকের গল্প একটাই — ‘বৃষ্টি মানেই দুর্ভোগ’। কিন্তু এ দুর্ভোগের পেছনে আমাদের অজুহাত নয়, ব্যর্থতা।
সময়ের দাবি—দূরদর্শী পরিকল্পনা, সম্পৃক্ততা, এবং নাগরিকদের পাশে দাঁড়ানো। না হলে এই বৃষ্টি আর বৃষ্টি নয়, বরং একটি বার্ষিক জাতীয় বিপর্যয় হয়ে দাঁড়াবে।
আমাদের কি আর অপেক্ষা করতে হবে পরের বৃষ্টির ঢেউ পর্যন্ত? না, এখনই বদলাতে হবে।
Previous Post Next Post
Love Poems
Health Tips
Food & Recipes
Read Books
Job Circulars
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...
Loading...