“পরিবার” শব্দটা শুনলেই আমাদের মনে হয় নিরাপত্তা, স্নেহ আর ভালোবাসার ঠিকানা। কিন্তু সেই ঠিকানাতেই লুকিয়ে থাকে মৃত্যুর গন্ধ, ভয়াবহ এক বাস্তবতা — পারিবারিক হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য পরিবার আজও রক্তক্ষরণে জর্জরিত, যেখানে ঘরেই কেউ কারো জানে শত্রু।
বাংলাদেশে বাড়ছে পারিবারিক হত্যাকাণ্ড। সন্তান পিতামাতাকে হত্যা করছে, মা-বাবাও সন্তানের প্রাণ নিচ্ছে। যশোর, বগুড়া, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের পাঁচটি ভয়াবহ ঘটনার বিশ্লেষণ উঠে এসেছে এই লেখায়। সম্পর্কের ভাঙন, মানসিক অসুস্থতা, মাদকাসক্তি, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সামাজিক অবক্ষয়ের সম্মিলিত প্রতিফলন হলো এসব হত্যা। প্রতিটি কাহিনিতে ফুটে উঠেছে আমাদের সমাজের দুর্বল নৈতিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। শুধু আইনশৃঙ্খলার চশমা দিয়ে নয়, এই অপরাধগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে মনস্তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব ও রাষ্ট্রনীতির আলোকে। রিমম, সাদ, রাসেল বা ফারুক—তারা কেবল অপরাধী নয়, বরং বিপর্যস্ত সমাজের প্রতিচ্ছবি। এই লেখার মাধ্যমে আমরা তুলে ধরেছি ভয়াবহ এক বাস্তবতা—যেখানে পরিবারের নিরাপদ ছায়া পরিণত হচ্ছে রক্তাক্ত মঞ্চে। সময় এসেছে সচেতনতা, চিকিৎসা ও সামাজিক সহায়তা নিশ্চিত করার। এই সিরিজের প্রথম পর্ব ‘রক্তাক্ত বন্ধন’ আপনাকে ভাবাবে, কাঁপাবে এবং প্রশ্ন তুলবে—আমরা কোথায় যাচ্ছি?
পারিবারিক হত্যাকাণ্ড— এই কঠিন সত্যটি শুধু অপরাধ নয়, এটি সামাজিক সম্পর্কের গভীর সংকটের চিহ্ন। পারস্পরিক আস্থা ও ভালোবাসার জায়গায় যখন ভয় ও সন্দেহ বাসা বাঁধে, তখন ঘটে এমন দুঃসাহসিক ঘটনা যা আমাদের সমাজের জন্য লজ্জার বিষয়।
পর্ব ১: রক্তাক্ত বন্ধন – পারিবারিক হত্যাকাণ্ডের পেছনের ছায়া
বাংলাদেশে পারিবারিক সম্পর্কের ভিত্তি ঐতিহাসিকভাবে গভীর, আবেগপূর্ণ ও মূল্যবোধ-নির্ভর। বাবা-মা, সন্তান, ভাইবোনের মধ্যকার টানাপোড়েন, প্রেম, দায়িত্ব, ও কর্তব্যের সঙ্গে গাঁথা এক পরম্পরাগত সম্পর্কজাল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্কেই দেখা দিচ্ছে ভাঙনের ধ্বনি – কখনো সন্তান কর্তৃক পিতামাতাকে হত্যা, কখনো মা-বাবার হাতে নিজের রক্তমাংসের সন্তান বলি হচ্ছে। এই ঘটনাগুলো কেবল আইনশৃঙ্খলা বা অপরাধ নয়; এগুলো গভীর মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক সংকটের প্রতিফলন।
যশোর, চৌগাছার রিমম: পিতৃহত্যার এক নির্মম দৃশ্যপট
২০২৫ সালের মার্চ মাসে যশোরের চৌগাছায় সংঘটিত হয় এক লোমহর্ষক ঘটনা। রিমম নামের ২২ বছর বয়সী এক তরুণ পারিবারিক বিরোধের জেরে তার পিতা শরিফুল ইসলামকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিমম ছিল কর্মহীন এবং মাদকাসক্ত। শরিফুল ইসলাম, যিনি একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন, ছেলেকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে চেয়েছিলেন, যার ফলে প্রায়শই বাগবিতণ্ডা হতো। সেই দ্বন্দ্ব এক রাতে রিমমের হাতে প্রাণ কেড়ে নেয় তার জনকের।
বগুড়ার ডিপ ফ্রিজ কাহিনি: মৃত মায়ের শরীরের উপর ডাকাতির পর্দা
২০২৪ সালের নভেম্বর। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় সাদ বিন আজিজুর রহমান নামের ১৯ বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্র তার মা–কে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রাখে ডিপ ফ্রিজে। পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধই ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। সে শুধু হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি; ঘটনাটিকে ডাকাতির নাটক বানিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
মায়ের অনুমতি না পাওয়ায় ছেলের নৃশংস প্রতিশোধ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে, এপ্রিল ২০২৪। রাসেল নামের ২২ বছরের যুবক প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। মা রানু বেগম তাতে অসম্মতি দেন। উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা থেকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায়, যেখানে রাসেল তার মায়ের গলা কেটে হত্যার পথ বেছে নেয়। এটি কেবল এক ব্যক্তির উন্মত্ততা নয়, বরং সমাজে ক্রমবর্ধমান মানসিক অস্থিরতার পরিচায়ক।
ফতুল্লায় সুমন মিয়ার গল্প: মানসিক ভারসাম্য ও নৃশংসতা
২০২৩ সালের নভেম্বর। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সুমন মিয়া নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি তার মা মধুমালা বেগমকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। প্রতিবেশীরা জানায়, সুমন দীর্ঘদিন ধরে সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগে ভুগছিলেন। পরিবারে উপযুক্ত মনোরোগ চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায়, একজন অসুস্থ সন্তান পরিণত হয় মায়ের হত্যাকারীতে।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে মাদকাসক্ত ফারুক
২০২৪ সালের জুন মাস। ওমর ফারুক, বয়স ২৩। ইয়াবা আসক্ত এই তরুণ মাদক কেনার টাকা না পেয়ে তার মা রিনা আক্তার চন্দনাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এটি বাংলাদেশের সমাজে মাদকের ভয়াবহতা ও পারিবারিক শান্তি বিনষ্টের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।
এই পাঁচটি ঘটনা কেবল বিচ্ছিন্ন পারিবারিক হত্যাকাণ্ড নয়; বরং তারা সমাজের ভেতরে গভীরভাবে প্রবেশ করা অসুখের চিহ্ন। এখানে আছে:
পারিবারিক কাঠামোর দুর্বলতা
অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বেকারত্ব
মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাব
মাদকের ছায়া
নৈতিক অবক্ষয় ও ক্ষয়িষ্ণু সামাজিক মূল্যবোধ
প্রতিটি ঘটনায় রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যর্থতা প্রতিফলিত হয়। এসব পরিবারকে সময়মতো কাউন্সেলিং, আর্থিক সহায়তা বা স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া গেলে হয়তো অনেক জীবন বাঁচানো যেত।
এখন সময় এসেছে পারিবারিক অপরাধকে শুধুই 'ক্রাইম রিপোর্টিং'-এর আওতায় না রেখে, তা মনস্তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব ও রাষ্ট্রচিন্তার আলোকে বিশ্লেষণ করার। রিমম, সাদ, রাসেল বা ফারুক – এরা কেবল অপরাধী নয়, তারা সমাজের ব্যর্থ নীতির করুণ প্রতিচ্ছবি।
পরবর্তী পর্বে...
আমরা দেখব, যখন মা-বাবা নিজের সন্তানকে হত্যা করে; তখন সেই কাহিনির গভীরে থাকে লিঙ্গ বৈষম্য, সামাজিক অপমান, হতাশা ও নিয়তির নির্মম খেলা। পাশাপাশি আলোচনা করব আত্মহত্যা ও হত্যাচেষ্টার মর্মান্তিক কাহিনিগুলো, যেখানে এক নিঃশ্বাসে মানুষ আপনজনকে হারিয়ে দেয় চিরতরে।
বাংলাদেশে বাড়ছে পারিবারিক হত্যাকাণ্ড। সন্তান পিতামাতাকে হত্যা করছে, মা-বাবাও সন্তানের প্রাণ নিচ্ছে। যশোর, বগুড়া, চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের পাঁচটি ভয়াবহ ঘটনার বিশ্লেষণ উঠে এসেছে এই লেখায়। সম্পর্কের ভাঙন, মানসিক অসুস্থতা, মাদকাসক্তি, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও সামাজিক অবক্ষয়ের সম্মিলিত প্রতিফলন হলো এসব হত্যা। প্রতিটি কাহিনিতে ফুটে উঠেছে আমাদের সমাজের দুর্বল নৈতিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা। শুধু আইনশৃঙ্খলার চশমা দিয়ে নয়, এই অপরাধগুলো বিশ্লেষণ করতে হবে মনস্তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব ও রাষ্ট্রনীতির আলোকে। রিমম, সাদ, রাসেল বা ফারুক—তারা কেবল অপরাধী নয়, বরং বিপর্যস্ত সমাজের প্রতিচ্ছবি। এই লেখার মাধ্যমে আমরা তুলে ধরেছি ভয়াবহ এক বাস্তবতা—যেখানে পরিবারের নিরাপদ ছায়া পরিণত হচ্ছে রক্তাক্ত মঞ্চে। সময় এসেছে সচেতনতা, চিকিৎসা ও সামাজিক সহায়তা নিশ্চিত করার। এই সিরিজের প্রথম পর্ব ‘রক্তাক্ত বন্ধন’ আপনাকে ভাবাবে, কাঁপাবে এবং প্রশ্ন তুলবে—আমরা কোথায় যাচ্ছি?
পারিবারিক হত্যাকাণ্ড— এই কঠিন সত্যটি শুধু অপরাধ নয়, এটি সামাজিক সম্পর্কের গভীর সংকটের চিহ্ন। পারস্পরিক আস্থা ও ভালোবাসার জায়গায় যখন ভয় ও সন্দেহ বাসা বাঁধে, তখন ঘটে এমন দুঃসাহসিক ঘটনা যা আমাদের সমাজের জন্য লজ্জার বিষয়।
পর্ব ১: রক্তাক্ত বন্ধন – পারিবারিক হত্যাকাণ্ডের পেছনের ছায়া
বাংলাদেশে পারিবারিক সম্পর্কের ভিত্তি ঐতিহাসিকভাবে গভীর, আবেগপূর্ণ ও মূল্যবোধ-নির্ভর। বাবা-মা, সন্তান, ভাইবোনের মধ্যকার টানাপোড়েন, প্রেম, দায়িত্ব, ও কর্তব্যের সঙ্গে গাঁথা এক পরম্পরাগত সম্পর্কজাল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সম্পর্কেই দেখা দিচ্ছে ভাঙনের ধ্বনি – কখনো সন্তান কর্তৃক পিতামাতাকে হত্যা, কখনো মা-বাবার হাতে নিজের রক্তমাংসের সন্তান বলি হচ্ছে। এই ঘটনাগুলো কেবল আইনশৃঙ্খলা বা অপরাধ নয়; এগুলো গভীর মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক সংকটের প্রতিফলন।
যশোর, চৌগাছার রিমম: পিতৃহত্যার এক নির্মম দৃশ্যপট
২০২৫ সালের মার্চ মাসে যশোরের চৌগাছায় সংঘটিত হয় এক লোমহর্ষক ঘটনা। রিমম নামের ২২ বছর বয়সী এক তরুণ পারিবারিক বিরোধের জেরে তার পিতা শরিফুল ইসলামকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিমম ছিল কর্মহীন এবং মাদকাসক্ত। শরিফুল ইসলাম, যিনি একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন, ছেলেকে শৃঙ্খলার মধ্যে রাখতে চেয়েছিলেন, যার ফলে প্রায়শই বাগবিতণ্ডা হতো। সেই দ্বন্দ্ব এক রাতে রিমমের হাতে প্রাণ কেড়ে নেয় তার জনকের।
বগুড়ার ডিপ ফ্রিজ কাহিনি: মৃত মায়ের শরীরের উপর ডাকাতির পর্দা
২০২৪ সালের নভেম্বর। বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় সাদ বিন আজিজুর রহমান নামের ১৯ বছর বয়সী এক মাদরাসা ছাত্র তার মা–কে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রাখে ডিপ ফ্রিজে। পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধই ছিল এই হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। সে শুধু হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি; ঘটনাটিকে ডাকাতির নাটক বানিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
মায়ের অনুমতি না পাওয়ায় ছেলের নৃশংস প্রতিশোধ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে, এপ্রিল ২০২৪। রাসেল নামের ২২ বছরের যুবক প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। মা রানু বেগম তাতে অসম্মতি দেন। উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা থেকে পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায়, যেখানে রাসেল তার মায়ের গলা কেটে হত্যার পথ বেছে নেয়। এটি কেবল এক ব্যক্তির উন্মত্ততা নয়, বরং সমাজে ক্রমবর্ধমান মানসিক অস্থিরতার পরিচায়ক।
ফতুল্লায় সুমন মিয়ার গল্প: মানসিক ভারসাম্য ও নৃশংসতা
২০২৩ সালের নভেম্বর। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সুমন মিয়া নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি তার মা মধুমালা বেগমকে ধারালো বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। প্রতিবেশীরা জানায়, সুমন দীর্ঘদিন ধরে সিজোফ্রেনিয়ার মতো মানসিক রোগে ভুগছিলেন। পরিবারে উপযুক্ত মনোরোগ চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায়, একজন অসুস্থ সন্তান পরিণত হয় মায়ের হত্যাকারীতে।
চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে মাদকাসক্ত ফারুক
২০২৪ সালের জুন মাস। ওমর ফারুক, বয়স ২৩। ইয়াবা আসক্ত এই তরুণ মাদক কেনার টাকা না পেয়ে তার মা রিনা আক্তার চন্দনাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এটি বাংলাদেশের সমাজে মাদকের ভয়াবহতা ও পারিবারিক শান্তি বিনষ্টের একটি জ্বলন্ত উদাহরণ।
এই পাঁচটি ঘটনা কেবল বিচ্ছিন্ন পারিবারিক হত্যাকাণ্ড নয়; বরং তারা সমাজের ভেতরে গভীরভাবে প্রবেশ করা অসুখের চিহ্ন। এখানে আছে:
পারিবারিক কাঠামোর দুর্বলতা
অর্থনৈতিক বৈষম্য ও বেকারত্ব
মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অভাব
মাদকের ছায়া
নৈতিক অবক্ষয় ও ক্ষয়িষ্ণু সামাজিক মূল্যবোধ
প্রতিটি ঘটনায় রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যর্থতা প্রতিফলিত হয়। এসব পরিবারকে সময়মতো কাউন্সেলিং, আর্থিক সহায়তা বা স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া গেলে হয়তো অনেক জীবন বাঁচানো যেত।
এখন সময় এসেছে পারিবারিক অপরাধকে শুধুই 'ক্রাইম রিপোর্টিং'-এর আওতায় না রেখে, তা মনস্তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব ও রাষ্ট্রচিন্তার আলোকে বিশ্লেষণ করার। রিমম, সাদ, রাসেল বা ফারুক – এরা কেবল অপরাধী নয়, তারা সমাজের ব্যর্থ নীতির করুণ প্রতিচ্ছবি।
পরবর্তী পর্বে...
আমরা দেখব, যখন মা-বাবা নিজের সন্তানকে হত্যা করে; তখন সেই কাহিনির গভীরে থাকে লিঙ্গ বৈষম্য, সামাজিক অপমান, হতাশা ও নিয়তির নির্মম খেলা। পাশাপাশি আলোচনা করব আত্মহত্যা ও হত্যাচেষ্টার মর্মান্তিক কাহিনিগুলো, যেখানে এক নিঃশ্বাসে মানুষ আপনজনকে হারিয়ে দেয় চিরতরে।
Tags:
Family Values Content