বাংলাদেশের সকালটা শুরু হয়েছিল এক অদ্ভুত গুজব দিয়ে—গাবতলী থেকে শুরু করে গাংনীর হাট পর্যন্ত রটে গেছে যে, এক গোয়ালঘরে গরু দুধ না দিয়ে “ম্যাঁ” বলে উঠেছে! হ্যাঁ, আপনি ঠিকই শুনেছেন—গরু, কিন্তু ছাগলের ভাষায়!
গরুর মালিক হাশেম চাচা এখন চরম দুশ্চিন্তায়—তিনি আশেপাশের হুজুর, কবিরাজ, এমনকি একজন ইউটিউব বাউল গায়ককে পর্যন্ত ডেকে এনেছেন গরুর ভাষান্তর বিষয়ে পরামর্শ নিতে। কেউ বলছে এটা “গরুর আত্মিক পুনর্জন্ম”, কেউ বলছে “দুধ না দেওয়ার প্রতিবাদ”।
এদিকে রাজধানী ঢাকায় সকাল থেকেই যানজট নেই! মানুষ হাঁ করে তাকিয়ে আছে রাস্তার দিকে—বলা হচ্ছে, সকালবেলা মেট্রোরেলের এক চালক হঠাৎ কবিতায় মগ্ন হয়ে ভুলে গেছেন ট্রেন থামাতে। ফলে আজ অফিস টাইমে মানুষেরা হেঁটে অফিস গেছে, কিন্তু মনের মধ্যে কবিতা ঝংকার তুলেছে—"নদী ছিল জলের পিপাসায়, মেট্রোরেল ছুটলো উদাস হাওয়ায়…"
অন্যদিকে, ময়মনসিংহের এক প্রত্যন্ত গ্রামে আজকে দেখা গেছে এক বিরল দৃশ্য—একটি হাঁস তার বাচ্চাদের নিয়ে গুগল ম্যাপ দেখে পুকুরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয় যুবকরা বলছে, "ভাই, হাঁসও এখন স্মার্ট, খালি আমরাই পুরান ফোনে ফেঁসে আছি।"
সন্ধ্যায় আবার চট্টগ্রামের এক চায়ের দোকানে দুই জন বয়স্ক মানুষ তর্ক করছেন—“ফেসবুকে বেশি হাসলে কি দাঁত পড়ে যায়?” পাশের কলেজপড়ুয়া ছেলে হাসতে হাসতে বলেছে, “চাচা, দাঁত পড়ে না, ফলোয়ার বাড়ে!”
সবচেয়ে রহস্যময় ঘটনা ঘটেছে খুলনায়। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে নাকি রাতের বেলায় “ভবিষ্যতের প্রশ্নপত্র” পড়ে পাওয়া গেছে। পরে জানা গেছে, এগুলো ছিলো বিগত দশ বছরের সাজেশন, যা শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম স্যার ভুল করে ছাদে শুকাতে দিয়েছিলেন!
রাতে গোপালগঞ্জের এক তরুণীর টিকটক ভিডিও ভাইরাল—তিনি গানের সুরে বলেছেন, “আমার বিয়ের জন্য পাত্র চাই না, চাই ৫জি ইন্টারনেট!”—তার এই দাবিকে কেন্দ্র করে একটি এনজিও ইতিমধ্যেই "ডিজিটাল বিয়ের আন্দোলন" শুরু করেছে।
বাংলাদেশের আজকের দিনটা ছিল একেবারে রহস্যে ঘেরা হাসির ঝাঁপি। শহর হোক বা গ্রাম—গরুর ছাগলের আওয়াজ, কবিতার ট্রেন, গুগল-চালিত হাঁস কিংবা ৫জি বিয়ে—সব মিলিয়ে আমাদের প্রিয় দেশের প্রতিটা কোণে যেন এক একটি চমকপ্রদ কৌতুক লুকিয়ে আছে।
হাসুন, হেসে বাঁচুন। কারণ এই দেশই তো আমাদের “আনন্দময় রহস্যলোক”।
#রম্যরচনা #বাংলারগল্প #হাসিরঘটনা #আজববাংলাদেশ #বাংলাহিউমার #গরুরকবিতা #ট্রেনএকবিতা #গুগলহাঁস #হাসিররচনা #funnyBanglaStory